অনেকের প্রশ্ন, মাংস বেশিদিন ফ্রিজে থাকলে গন্ধ হয়ে যায়, কীভাবে রাখলে গন্ধ হবে না।
আসলে মাংস গন্ধ হয় যদি সেটা ফ্রিজে রাখার পর ঠাণ্ডা হতে এবং জমতে সময় নেয়। মাংস যদি তাজা থাকা অবস্থায় আপনি জমিয়ে ফেলতে পারেন তাহলে জমার পর যতদিনই থাকুক স্বাদের হেরফের খুব একটা হয় না। সেজন্য আপনাকে যা করতে হবে–
১. মাংস আনার পরপরই ফ্রিজে ঢোকাবেন না, মাংস ঠাণ্ডা হতে দেবেন। ফ্যান ছেড়ে ডাইনিং টেবিলের উপর ছড়িয়ে দিতে পারেন, অথবা বাসায় এসি থাকলে এসি রুমের ফ্লোরে কিছু বিছিয়ে মাংস ছড়িয়ে রাখুন, এসিটা ছেড়ে দিন, ধীরে ধীরে যত সময় লাগুক মাংস গোছান, বিলি করুন, কোনও সমস্যা হবে না।
২. মাংস ধোবেন না, তাজা মাংসটা শুকালেই রক্তটা জমাট বেঁধে যাবে, যদি পানি লাগান তাহলে জমাটটা ছেড়ে দেবে এবং মাংস থেকে রক্ত ছাড়তেই থাকবে। অনেকে বলেন রক্তসহ রাখব? আপনি কি মাংস থেকে রক্ত আলাদা করতে পারবেন? পুরো মাংসের মধ্যেই তো রক্ত, মাংস তো ধুয়ে ধুয়ে সাদা করে ফেলতে হবে তাহলে!
৩. মাংসের গায়ে লেগে থাকা রক্ত হালাল, শুধু মাত্র জবেহের সময় ছিটকে বের হওয়া রক্ত হারাম। তাই আপনি যদি পরিষ্কার জায়গায় মাংস কাটেন আর না ধুয়েই রান্না করেন তাতেও কোনও সমস্যা নেই, তাই ফ্রিজে রাখার আগে ধোয়ার ব্যাপারে চিন্তা করার একেবারেই প্রয়োজন নেই।
৪. একসাথে ডিপে ভরে ফেলবেন না, ডিপের ক্যাপাসিটির এক-তৃতীয়াংশ মাংস রেখে দিন শুরুতেই। ফ্রিজের দরজা বারে বারে খুলবেন না, অন্য মাংস গোছাতে থাকুন, রান্নার কাজ সেরে নিন, এক-দুই ঘণ্টা পর আগেরগুলো ভালোমতো ঠান্ডা হয়ে গেলে আরেক তৃতীয়াংশ রাখুন। ফ্রিজে স্পেস থাকলে প্রতি সারি মাংসের মাঝে ফাঁকা রাখার চেষ্টা করবেন যেন ঠাণ্ডাটা চলাচল করতে পারে। তাহলে মাংস জমবে দ্রুত।
৫. ফ্রিজ কোনও অবস্থাতেই এতটা ঠেসে ভরবেন না যে দরজা ঠিকমতো না লাগে। কোনওক্রমে যদি সামান্য ফাঁকও থেকে যায়, মাংস জমতে অনেক বেশি সময় লাগবে আর স্বাদও নষ্ট হয়ে যাবে। সাথে ফ্রিজও নষ্ট হতে পারে।
৬. এটা শুরুতে দেওয়া দরকার ছিল। ঈদের আগেই কিছু ভালো কোয়ালিটির পলিব্যাগ কিনে রাখবেন, পলিব্যাগ ভালো হলে এবং সুন্দর সারিবদ্ধ ভাবে রাখলে মাংস জমার পর বের করতে কষ্ট হবে না। বারে বারে ফ্রিজ বন্ধ করে খোঁচাখুঁচি করতে হবেনা।
৭. কলিজা থেকে রক্ত ছাড়ে বেশি, কলিজা রাখতে চাইলে পলিতে না রেখে বক্সে করে রাখবেন।
______________________________সংগৃহীত